ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশঃ



১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর

দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে

নিজে একবার মুছে দিও।


২. কখনও কাউকে কামলা, কাজের লােক বা বুয়া বলে।

ডেকোনা। মনে রেখাে তারাও কারাে না কারাে ভাই, বােন, মা,

বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।


৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছােট হলেও

কখনও কাউকে ছােট করে দেখােনা। নইলে তুমি ছােট হয়ে

যাবে।


৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করাে, কিন্তু কারাে ঘাড়ে পা

দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করাে না।


৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, সে লজ্জা

পেতে পারে।


৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা করাে বেশি। মনে

রেখাে, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।


৭. এমন কিছু করােনা যার জন্য তােমার এবং তােমার

পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।


৮. ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছাে, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।


৯. তােমার কি আছে তােমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তােমার

ব্যবহারে দেখা যাবে তােমার পরিবার কোথায় আছে।


১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে

মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। কাউকে ফেলতে

পারবে না।


১১. কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত

খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।।


১২. কারাে বাসার খাবার নিয়ে সমালােচনা করাে না। কেউ

খাবার ইচ্ছে করে অস্বাদ করার চেষ্টা করে না।


১৩. বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হবার জন্য চেষ্টা করাে।


১৪. শ্বশুর কিংবা শাশুড়িকে এতটা সম্মান দিও, যতটুকু

সম্মান তােমার বাবা-মাকে দাও। এবং তাদের প্রতি এমন

আচরন করাে, যাতে করে তাদের মেয়েকে তােমার বাড়ি

পাঠানাের জন্য উতলা থাকে।


১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চলাে এবং কথা বলাে। কিন্তু

অন্যায়ের সাথে আপােষ করােনা।